সাধারণ দৃষ্টিতে প্রায় সকলেই কোননা কোন ভাবে আল্লাহর কাছে দুয়া করে, দুনিয়া ও আখিরাত কেন্দ্রিক। যা প্রয়োজন তাই চায়। জেনে কিংবা না জেনে খুব আশা করে রবের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসটা চায়।
কিন্তু কতজন নিজের উপর কৃত জুলুম কিংবা পাপের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে?কতজনের অন্তর কেঁদে উঠে তার পাপের বোঝা ও শাস্তির কথা ভেবে?। এই ক্ষেত্রে সংখ্যাটা একেবারেই কম বিশ্বাস না হলে নিজেকেই জিজ্ঞাসা করুন আল্লাহর নিকটে নিজের পাপ স্বীকার করে কতবার কান্না করে ক্ষমা চেয়েছেন?। পাপ থেকে বাচতে কি কি করছেন?
ভাই, বান্দা তখনই তার রবের নিকট নফসের উপর জুলুম করা জন্যে,পাপ করার জন্যে ক্ষমা চায় এবং ফিরে আসে যখন বুঝে নেয় যে, তার পাপরাশি ক্ষমা করার জন্যে একমাত্র আল্লাহ ব্যতিত কেউই নাই।বুঝে নেয় আসমানের উপর একজন আছে যিনি একমাত্র সকল কিছুর মালিক, যিনি আর রহমান, যিনি একমাত্র ক্ষমাকারী তিনি ব্যতিত কেউই পাপ ক্ষমা করতে পারেনা। তাই বান্দা তাঁর দিকে ফিরে আসে যেন জান্নাতের পথে হাটতে পারে এক প্রাশান্ত আত্মা নিয়ে।
আল্লাহ বলেন- যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে,সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও করুনাময় হিসেবে পাবে।( ৪ঃ১১০)
সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ ক্ষমার ঘোষণা করেছেন তারপরেও নিশ্চুপ রইবেন বধিরের মতো? অন্তরকে খোলবেন না? ফিরে আসবেন না প্রতিপালকের নিকট?
প্রিয়, আমরা জানি মৃত্যু অনিবার্য, যেকোনো সময় আপনার আমার মৃত্যু হতেই পারে! কিন্তু জানা নেই সঠিক সময়! তাই বলে প্রস্তুতি নিবোনা? প্রিয়, মৃত্যু আশার পূর্বেই পাপ কাজ বর্জন করে একাগ্রতার সাথে তাওবা করে প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার পাঠ করে, সুন্নাহ সম্মত আমল বৃদ্ধি করে, ভালো কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ করে মূল্যহীন দুনিয়ার জীবনটাকে আখিরাতের জন্যে প্রস্তুত করাই হোক মূল উদ্দেশ্য।
রবের রহমত লাভ করতে বেশি বেশি ইস্তিগফার পাঠ করুন। "লোকমান হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন- বেটা জবানে সবসময় আল্লাহুম্মাগফিরলি হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন' দুয়া করতে থাকবে কেননা, আল্লাহ'র এমন কিছু সময় রয়েছে যখন তিনি কাউকে ফিরিয়ে দেন না। (হুসনুস যন্নি বিল্লাহঃ১/১১১)(মাগফিরাতের পথ ও পাথেয়-বই থেকে নেয়া)
প্রিয়, সন্তষ্ট ও সন্তোষজনক হয়ে ফিরে আসুন প্রতিপালকের দিকে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন নিঃশর্ত ভাবে শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদত করতে।
0 মন্তব্যসমূহ